প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক: বাম ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এবারও দেশি-বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরশীল আরও বড় ধরনের ঘাটতি বাজেট দিয়েছে। শুক্রবার বাম ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়ক গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন আহম্মদ নাসু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মাহবুব) আহ্বায়ক সন্তোষ গুপ্ত, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সরওয়ার মুর্শেদ এবং কমিউনিস্ট ইউনিয়নের আহ্বায়ক ইমাম গাজ্জালী বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাজেটে কোথা থেকে টাকা আসবে, কোথায় খরচ হবে তার কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। বাজেটে করোনা ও আম্ফানে বিধ্বস্ত খাতগুলোর দিকে তেমন কোনো নজর দেওয়া হয়নি। চড়া সুদে যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে সেই ব্যাংকগুলোর ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা আছে না কি সেই হিসাবও করা হয়নি।
আরও বলা হয়, এবারও দুই খাত কার্যত উপেক্ষিত থাকছে। করোনাকালীন ব্যয়কে স্বাস্থ্যখাতে ঢোকানোসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বরাদ্দ সামান্য বাড়লেও তা কার্যত শুভঙ্করের ফাঁকি ছাড়া আর কিছুই নয়। বয়স্ক ভাতা সামান্য বাড়ানোসহ কিছু প্রচারমূলক কর্মকাণ্ডের বিবরণ ছাড়া সামাজিক সুরক্ষাও উপেক্ষিত থাকছে। ইতোমধ্যে মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশেরও বেশি দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে, এমনিতেই ধনী-দরিদ্রের ব্যবধানও ব্যাপক ঊর্ধ্বমুখী।
পুরনো বেকারদের সঙ্গে দেশ-বিদেশের সৃষ্ট বেকারদের জন্য কোনো কার্যকর পরিকল্পনা নেই এই বাজেটে। মূলত নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিকনির্দেশনা দিতেও ব্যার্থ হয়েছে। প্রয়োজন ছিল বিলাসবহুল দ্রব্য আমদানি, রাজস্ব ব্যয়সহ অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় কমিয়ে করোনা মোকাবিলায় কালো টাকা, অপ্রদর্শিত অর্থ-সম্পদ উদ্ধার করা। এই বাজেট অতীতের ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রের শ্রেণি-চরিত্রেরই প্রতিফলন। বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে সরকার প্রমাণ করল তারা পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থরক্ষা ছাড়া কিছুই করতে পারে না।